প্রাথমিক এইচআইভি-র সাথে লড়াইয়ের একমাত্র উপায় হল পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত এইচআইভি সনাক্তকরণ। ভারতে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ২.৩৫ মিলিয়ন লোক এইচআইভি আক্রান্ত হলেও মাত্র ১.৭৮ মিলিয়ন তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন। কোভিডের কারণে দেশব্যাপী এইচআইভি-র ডায়াগনসিস অনিয়মিত হয়ে পড়ায় একদিকে যেমন প্রকৃত এইচআইভি রোগীর সংখ্যা নিয়ে সংশয় আছে তেমনি চিকিৎসা পরিসেবাও আগের তুলনায় অনেক বেশি অপ্রতুল হয়ে পড়েছে।
তাই কোভিড পরবর্তীকালে এইচআইভি সংক্রমণে রাশ টানতে এবং সুস্থ চিকিৎসা পরিসেবা প্রদানে ইউএনএআইডিএস-এর প্রথম লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করার জন্য ভারতের ৯৫% সিমটস যুক্ত রোগীদের রোগ নির্ণয় জন্য পরীক্ষার ফাঁক পূরণ করা অপরিহার্য।
যা ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন এইচআইভি সংক্রমণের অবসান ঘটাতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের প্রাথমিক এবং সঠিক সনাক্তকরণ প্রয়োজন। কারণ যারা সংক্রমণ সম্পর্কে অবগত নয় তাঁদের কাছ থেকে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা ৩.৫ গুণ বেশি।এইডস সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ডাঃ ঈশ্বর গিলাদা বলেন, মহামারির কারণে টেস্ট অনিয়মিত হয়ে পড়ায় মাত্র ৭৯.৪% ইতিবাচক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।