ই-কমার্সের গুরুত্ত্ব বিগত বছরগুলিতে অনেক বেড়ে যাওয়ার ফলে যেমন প্রচুর কর্মসংস্থান হচ্ছে, তেমনই গ্রাহকরা তাদের পণ্যসামগ্রী ডেলিভারি পাচ্ছেন আরও দ্রুততার সঙ্গে। ২০১৯ সাল থেকে এযাবৎ পশ্চিমবঙ্গে ফ্লিপকার্টের সেলার বেস দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ২০০০০ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে, হাজার হাজার গ্রাহকদের সুবিধার্থে ফ্লিপকার্ট অ্যাপের প্লাটফর্মে ১১টি ভারতীয় ভাষায় ইন্টারফেস চালু করেছে ফ্লিপকার্ট।
আসন্ন উৎসবের মরশুমের আগে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিক্রেতা, ছোটো ও বড় ব্যবসায়িক সংস্থা, কিরানা ও কারিগররা গ্রাহকদের নানাধরণের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ফ্লিপকার্টও তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। উৎসবের প্রাক্কালে ডেলিভারি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ফ্লিপকার্ট তাদের সাপ্লাই চেইন ঢেলে সাজাচ্ছে, কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করছে, প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটাচ্ছে, কিরানা ও অন্যান্য পার্টনারদের সংখ্যাবৃদ্ধি করছে। বর্তমানে ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট ও সর্টেশন সেন্টার-সহ ১২টি সাপ্লাই চেইন কেন্দ্র রয়েছে এবং ১৬০টিরও বেশি ডেলিভারি হাব রয়েছে। এগুলির মাধ্যমে ৫৭০০০ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে এই রাজ্যে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফ্লিপকার্ট চুক্তিবদ্ধ হয়েছে রাজ্য সরকারের ‘পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি অফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট’-এর সঙ্গে। এর দ্বারা ফ্লিপকার্টের সাপ্লাই চেইন অপারেশনস অ্যাকাডেমির মাধ্যমে ৬০ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে, যাতে প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী তৈরি করা যায়।
এছাড়া, কিরানাগুলির আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও তাদের বিকল্প আয়ের সুযোগ দিতে এরাজ্যের প্রচুর কিরানাকে নিজেদের প্লাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করেছে ফ্লিপকার্ট।