২০১৫ সালে, টয়োটা তার বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ ২০৫০ ঘোষণা করেছিল। যা প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিটি দেশের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে টয়োটা এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করেছে যাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে কার্বন কমানো যায়। এই চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করতে টয়োটা আজ দিল্লিতে ফ্লেক্সি-ফুয়েল স্ট্রং হাইব্রিড ইলেকট্রিক যান প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্প চালু করল।
সবচেয়ে উপযুক্ত সমাধানগুলির মধ্যে একটি হল ইথানল। যা কার্বন নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। ভারত ইতিমধ্যে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস আগে ১০% ইথানল মিশ্রণ অর্জন করেছে। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে পেট্রোলে ২০% ইথানল মিশ্রনের কারণে বাস্তবে ৮৬ মিলিয়ন ব্যারেল গ্যাসোলিনের বিকল্প হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার ফলে ৩০,০০০ কোটি টাকা, সেইসাথে ১০ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমবে।
লঞ্চের সময় পাইলট প্রকল্পের জন্য টয়োটা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা টয়োটা করোলা Altis FFV-SHEV/ অলটিস এফএফভি-এসএইচইভি উন্মোচন করে। এই উদ্যোগটি টয়োটার স্ট্রং হাইব্রিড বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রযুক্তির ইথানলের প্রচার এবং সচেতনতা তৈরির জন্য টয়োটার প্রথম পদক্ষেপ। যা ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতকে কার্বন নেট-জিরো স্বনির্ভরতা অর্জনে সাহায্য করবে।